ঝগড়াটে ভালোবাসা|:কি করো আমার বাবুর আম্মু ?ভালবাসার মায়জাল


গল্পঃ- ঝগড়াটে ভালোবাসা

পর্ব  ১
:কি করো আমার বাবুর আম্মু ?
:অই হারামজাদা,বান্দর,কুত্তা,বিলাই।
আমি তোর কোন কালের বাবুর আম্মু রে
?
:কেনো এই কালের বাবুর আম্মু।আর আমি না তোমার বাবুর আব্বু ।মানে তোমার জামাই।
জামাইর সাথে কি কেউ এইভাবে তুই তুকারি করে কথা বলে।
:ঘোচাচ্ছি তোর জামাই হওয়া।(এই বলে আমাকে তারা করা শুরু করলো পাগলিটা)
এবার পরিচয়টা দেই।
আমি রাফিদ।বাবা মার একমাত্র সন্তান।আর এতোক্ষন যার সাথে কথা বলছিলাম সে হচ্ছে জান্নাতুল মাওয়া সাফা।সেও তার বাবা মার একমাত্র সন্তান।আমরা দুইজন অনার্স ২য় বর্ষে পড়ি। সাফার বাবা আর আমার বাবা ঘনিষ্ট বন্ধু হলেও সাফা আর আমার সম্পর্কটা অনেকটা দা আর কুমড়ার মত।সারাক্ষন আমাদের মাঝে ঝগরা হয়।তবে আমরা কেউ কাউকে ছাড়া এক মুহুর্তও থাকতে পারি না।আর সবচেয়ে বড় কথা হলো আমি সাফাকে মনে মনে ভালোবাসি অনেক।কিন্তু পাগলিটা বঝেই না ।
:কিরে এইখানে একা একা কি করিস?
(কলেজের পুকুরপারে বসে ছিলো সাফা)
:মুরি খাই,খাবি ?(সাফা)
:আচ্ছা তুইকি আমার সাথে একটু ভালোভাবে কথা বলতে পারিস না?(রাফিদ)
:না পারিনা,তবুওতো আমার পিছু ছারছিস না হনুমান কোথাকার(সাফা)
:যতই হনুমান বলিসনা কেনো সুন্দরি,একদিন এই হনুমানের গলাতেই তোমাকে ঝুলতে হবে (এই বলে একটা দুষ্টু হাসি দিলো রাফিদ)
:তোর গলায় ঝুলতে আমার বয়েই গেছে হুহ।তোকে আমার যাষ্ট সহ্য হচ্ছে না।পেইন একটা(এই বলে সাফা সেইখান থেকে চলে গেলো।আর আমি বসে বসে ভাবতে লাগলাম কি করে সাফাকে বাগে আনা যায়)
(হঠাৎই পেছন থেকে সাফার চিৎকারের শব্দ শোনা গেলো।আর আমি পেছনে তাকিয়ে হাসবো না কাদবো বুঝতে পারছি না......)
পেছনে তাকিয়ে দেখি সাফা মাটিতে পরে আছে।আর এক হাত দিয়ে ওর পা টা ডলছে।
:কিরে আমার ধ্যনে এতোই মগ্ন যে শুকনা রাস্তায়ও উস্টা খাস।(আমারতো হাসতে হাসতে পেট ফেটে যাওয়ার অবস্থা )
:শালা বান্দর,হনুমান,শিয়াল,কুত্তা আমাকে এইভাবে দেখে তোর খুব হাসি পাচ্ছে তাইনা?
একবার খালি তোকে পাই তারপর দেখিস কি করি (সাফা)
:কি করবি রে কাছে পেলে,আদর করবি নাকি?(রাফিদ)
:তোকে আজকে মেরেই ফেলবো আউউউউউউউউউ (উঠতে যেয়ে সাফা চিৎকার করে বসে পরে।মনে হচ্ছে অর পা টা মচকে গেছে)
:কিরে খুব বেশি লেগেছে(রাফিদ)
:নাহ লাগবে কেনো, আমিতো খুব আরাম পাচ্ছি (সাফা)
:চল তোকে নাসায় পৌছে দিই(রাফিদ)
:দরকার নাই তোর পৌছে দেওয়ার(এই বলে সাফা উঠতে যাচ্ছিলো কিন্তু ব্যাথার কারনে উঠতে পারছিলো না)
:দারা তুই আমি হেল্প করছি(এই বপে সাফা কে কলে তুলে নিলাম (রাফিদ)
:অই বান্দর কি করছিস ছাড়,সবাই দেখছে তো(এই বলে আমার পিঠে দুম দুম কিল ঘুষি মারছে)
:চুপ করে থাক।
উস্টা খেয়ে পরে না হাটতে পারে না আবার বড় বড় কথা।(ধমক খেয়ে সাফা অনেকটা চুপ করে রইলো)
তারপর রিকশায় করে সাফাকে নিয়ে অর বাসায় গেলাম।বাড়ির সামনে নেমে রিকশার ভাড়া মিটিয়ে সাফাকে আবার কলে তুলে নিলাম।সাফা শুধু অবাক হয়ে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল।
সাফার বাসার দরজায় গিয়ে বেল বাজালাম।দরজা খুলে দিলো।সাফার আম্মু মানে আমার বাবুর নানি হি
পাশে থাকুন

Comments

Popular posts from this blog

বাবার স্ত্রী|পর্ব ১|জীবনের গল্প |ভালোবাসার মায়াজাল|

তোর কি আমার পেছনে লাগা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই(সাফা)"ঝগড়াটে ভালোবাসা"ভালবাসার মায়জাল